চিন্ময় কৃষ্ণ গ্রেপ্তার: পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্বেগ

বিবাংলা ডেস্ক
০ মন্তব্য ৫৩ views

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক যুক্ত বিবৃতিতে সংগঠন দুটি এ উদ্বেগ জানায়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস পাল যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গোয়েন্দা হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে সারা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সর্বসম্মত আট দফা দাবি দিয়ে আন্দোলন করছিলেন, তার এই আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়। বরং গত তিপ্পান্ন বছর ধরে সৃষ্ট বৈষম্য নিরসন করে বাংলাদেশকে ‘এক পরিবার’-এ পরিণত করার জন্যই আন্দোলন, যা প্রধান উপদেষ্টা বারবার উচ্চারণ করেছেন। ছাত্র-জনতার ‘বৈধম্যবিরোধী আন্দোলন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আরো সচেতন করেছে অধিকারবোধে। এই আ্দোলন সরকারকে ইতিবাচক পথে পা বাড়াতে সহায়তা করবে, রাজনৈতিক দলগুলোতে সার্বজনীন চিন্তার বিকাশ ঘটাবে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে সাধু-সন্তদের আন্দোলন সার্বজনীন রাষ্ট্র গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে নেতারা বিশ্বাস করেন। দমলমূলক বা বেতিবাচক পদক্ষণ নবচেতনার বাংলাদেশ দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভান্তি ছড়াবে
ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে এবং সর্বোপরি ভুল বার্তা যাবে।

তাই সংগঠনের নেতারা এই ভুল পথ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে এই সম্মানিত সন্যাসী নেতার মুক্তি দাবি করেছেন।

গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। মামলার পরই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।

মামলার আসামিরা হলেন- ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু (৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন

একটি মন্তব্য লিখুন

আমাদের সম্পর্কে

বাঙালীর সংবাদ বাংলা ভাষায়, সবার আগে সেরা সংবাদ পেতে বি-বাংলা ভিজিট করুন।

আজকের সর্বাধিক পঠিত

নিউজলেটার