জাতিসংঘে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণ সম্পর্কে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘ভাষণে তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেছেন, তার সরকারের অগ্রাধিকার সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন; কিন্তু গণতান্ত্রিক উত্তরণে জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ করেননি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করতে এ ব্যাপারে তিনি একটা ধারণা দিতে পারতেন।’
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা বিষয়ে তিনি তার সরকারের অবস্থান নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।কিন্তু তার ভাষণে ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশিদের হত্যাসহ ভারতের মোদি সরকারের বাংলাদেশবিরোধী বৈরী তৎপরতা সম্পর্কে কোনো কিছুই উল্লেখ করেননি।
সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের জন্য এসব বিষয় বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আনা দরকার ছিল।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার কথা তিনি ভাষণে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু দেশের অর্থসম্পদ অল্প সংখ্যকের হাতে পুঞ্জীভূত হওয়া ও ধনী-গরিবের অবিশ্বাস্য ফারাক, শোষণ-বঞ্চনা ও বৈষম্য সম্পর্কে তার বক্তব্যে তেমন কিছু উল্লেখ নেই।
সাইফুল হক বলেন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও সামাজিক স্থিতি প্রতিষ্ঠায় সংকট উত্তরণের নিদান হিসাবে তিনি সামাজিক ব্যবসা সম্প্রসারণের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন; অথচ এই ব্যাপারে দেশের অধিকাংশ মানুষ বিশেষ কিছু জানে না। তাছাড়া বেকারত্ব দূরীকরণ ও দারিদ্র্য নির্মূলে তার এই তত্ত্বের কার্যকারিতা সম্পর্কেও নানাবিধ প্রশ্ন রয়েছে।
তিনি বলেন, এসবের পরেও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ ব্যতিক্রমী সন্দেহ নেই।তার ভাষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের ইতিবাচক সম্ভাবনার বার্তাই দিয়েছে।