বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় চলছিল দেশ-এর ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকটি। প্রদর্শনী চলাকালে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রদর্শনী বন্ধের নির্দেশ দেন একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, উত্তেজিত জনতা জাতীয় নাট্যশালার গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু তারা এ নাটক বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
নাটক বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পর দর্শক সারি থেকে সৈয়দ জামিল আহমেদকে প্রশ্ন করা হয়, এভাবে কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা যায়? জবাবে সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, আমি তাদের বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছি। এতক্ষণ তাদের সাথে রীতিমতো বাকযুদ্ধ করেছি। যদি তারা আগুন ধরিয়ে দেয়, এই আশঙ্কা থেকে শো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশ নাটকের শো বন্ধের দাবিতে বিকেল থেকেই নাট্যশালার মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের বেশ কজন কর্মী। নাটকের মাঝামাঝি পর্যায়ে শিল্পকলার মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ নাটক বন্ধ করে দিতে বলেন। সে সময় তিনি জানান বাইরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়।
জানা যায়, দেশ নাটকের জ্যেষ্ঠ সদস্য এহসানুল আজিজ বাবু ছাত্র আন্দোলনের সময় ফেসবুকে ছাত্র আন্দোলনবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা এ কাজ করেছেন। নাটক শুরু হওয়ার সময় ২০ থেকে ২৫ জন আন্দোলনকারী গেটের বাইরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। দফা এক দাবি এক, এজাজ বাবুর পদত্যাগ।
এ হট্টগোলের মধ্যে দর্শকরা মিলনায়তন থেকে বের হয়ে যান। এ সময় বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।