গত আট মাসে দেশের শেয়ারবাজার থেকে ১,০০০ পয়েন্টেরও বেশি সূচক পতনের মধ্য দিয়ে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। শনিবার রাজধানীর সিএমজেএফ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এই তথ্য তুলে ধরেন।
এদিকে গত বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক একদিনেই ১৪৯ পয়েন্ট বা ৩.০২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪৮০২ পয়েন্টে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পতন। বিনিয়োগকারীদের মতে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই আট মাসে শেয়ারবাজার থেকে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে, ফলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, “আট মাস গেছে, আট মাসে তারা কিছুই বুঝতে পারেনি। তাহলে এই স্বৈরাচারের দোসররা এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারত না, পুঁজিবাজার লুট করতে পারত না। স্বৈরাচারী সরকার গত ১৫ বছরে যা লুট করেছে, এই আট মাসে তার চেয়েও বেশি—প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারী তাদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। শেয়ারবাজার আবার নেতিবাচক ধারায় ফিরে গেছে।”
ইকবাল হোসেন আরও মন্তব্য করেন, “আমরা শুধু পুঁজিবাজার নিয়েই চিন্তা করি না। পুঁজিবাজার বাঁচাতে হবে, দেশকেও বাঁচাতে হবে। দেশে যে উশৃঙ্খলা, বিশৃঙ্খলা ও অর্থনীতির ধ্বংস চলছে, তার বিরুদ্ধেও আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস অর্থ উপদেষ্টা ও বাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করবেন। তবে বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছেন, এই বৈঠকে শেয়ারবাজার উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম এমন কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।