বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ সেদিনই সফল হবে, যেদিন এদেশের মানুষ রাজনৈতিকভাবে তাদের অধিকার ফিরে পাবে। রাজনৈতিক অধিকারের পাশাপাশি একই ভাবে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার পাবে, সেদিন আমাদের ’৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহিদ এবং একই সাথে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন বা বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের আত্মত্যাগ সফলতা লাভ করবে।
শনিবার ( ২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রোডম্যাপ ঠিক করার তাগিদ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে যে নিরাপত্তা প্রত্যাশা করে, শিক্ষার নিরাপত্তা, কৃষকের অধিকার পর্যায়ক্রমে আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমরা আন্দোলন করেছে সংগ্রাম করেছি এখন আমাদের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারের রোডম্যাপ নির্দিষ্ট করতে হবে। তবেই সব পরিবর্তন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। মূল দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের ফেলে যাওয়া দলবাজ প্রশাসনের চলমান ষড়যন্ত্রের কাছে এ সরকার মাঝে মাঝে অসহায় বোধ করছে। ছোট ছোট ষড়যন্ত্র এক সময় মহা বিপদ ডেকে আনবে। তাই এদের অপসারণ করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় নিহত সাব্বির ও রাকিব হোসেন হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে জেলা শহরের পায়রা চত্বরে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বিএনপি’র জাতীয় কমিটির সহ তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপি’র জাতীয় কমিটির সহ-তথ্য ও গোবেষনা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ।