ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে হারুন অর রশিদ নামে এক শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাদেক হোসেনের বিরুদ্ধে। শিক্ষক হারুন অর রশিদ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও চাঁচড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষক হারুন অর রশিদ।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন শহরের মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ও সাদেক হোসেন পাঁচকাহুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পদে কর্মরত। তারা স্থানীয় রাজনীতিতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলামের অনুসারী।
শিক্ষক হারুন অর রশিদ জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে তিনি শহরের ছন্দা সিনেমা হলের সামনে একটি টিনের দোকানে বসেছিলেন। সেখানে জাহাঙ্গীর ও সাদেকসহ প্রায় ১০/১৫ জন তার কাছে আসে। এ সময় তারা বলে কোথায় গিয়েছিলি? তখন বললাম টেইলার্সের দোকানে। তখন তারা বলে ওখানে কি? এরপর হাতে থাকা ২/৩টি প্যাকেট কেড়ে নেয়। এরপর একটা ইজিবাইকে উঠতে বলে। তখন ইজিবাইকে না উঠার জন্য অনেক চেষ্টা করি। এরপর তারা লাঠি দিয়ে কয়েকটি বাড়ি মারলে মাথা কেটে যায়। তখন জোরপূর্বক ইজিবাইকে তুলে নিয়ে ফয়লা গোরস্তানপাড়ায় নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, সেখানে নিয়ে গিয়ে একটি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর ও সাদেক। এরপর তিনি বাধ্য হয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর তারা ভিডিও করে নেয় যে, কোনো রকম জোর করা হয়নি। এরপর তারা আমার রক্তমাখা শার্ট খুলে রেখে দিয়ে একটি গেঞ্জি দিয়ে বলে চলে যা। এরপর আমি চলে আসি। বিষয়টি তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতাদের জানিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
কালীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি এ ঘটনার সময় ছিলাম না।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম বলেন, তিনি ঢাকাতে আছেন। বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঢাকা থেকে ফিরে বিষয়টি সুরাহা করবেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন পিকুল জানান, দলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার ক্ষমতা কারও নেই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।