বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে সরকারের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নাকি অন্যকিছু?

বিবাংলা ডেস্ক
০ মন্তব্য ১৪১ views

নতুন সরকার গঠনের তিন মাস পর আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে এক ধরনের বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন সদস্য যুক্ত হওয়ার ঘটনায় প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে এই বিরোধ।

এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেককে ফেসবুকে প্রোফাইল ছবি লাল করেও প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে।

যে শিক্ষার্থীদের সমর্থন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলো তারাই কেন প্রতিবাদ করছে? শুধুই কি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন নাকি ক্ষমতাকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বও আছে- সেই প্রশ্নও সামনে আসছে।

জবাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকরা বলেছেন, উপদেষ্টা নিয়োগসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়ে তাদের কাছেও প্রশ্ন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “বর্তমানে এই সরকারের বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সেই সাথে তাদের কিছু কিছু কাজে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না থাকায় আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ ইস্যুর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ, সংবিধান বাতিলসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেশ কিছু দাবি তুললেও সে সব দাবিও বাস্তবায়ন হয়নি।

এরপর থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কিছুটা দূরত্ব দেখা গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ও সরকারে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ অবশ্য এই বিরোধের কথা অস্বীকার করেননি।

বিবিসি বাংলাকে উপদেষ্টা মি. মাহমুদ বলেছেন, “আমি মনে করি না সরকার আর ছাত্রদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আছে। নতুন উপদেষ্টার অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কেন এমন হচ্ছে এটা আমরা নিজেরাও বোঝার চেষ্টা করছি।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন সরকারে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাঠের নেতাদের কোনো না কোনো কারণে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেখান থেকেই হয়তো বিরোধের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসছে।

আরো পড়ুন

একটি মন্তব্য লিখুন

আমাদের সম্পর্কে

বাঙালীর সংবাদ বাংলা ভাষায়, সবার আগে সেরা সংবাদ পেতে বি-বাংলা ভিজিট করুন।

আজকের সর্বাধিক পঠিত

নিউজলেটার