Saturday, April 19, 2025

দরপত্র নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মারামারি, ভিডিও করায় সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় ওই সাংবাদিককে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সাংবাদিক ইমরান হোসেন মনিম মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি।

বিবাংলা ডেস্ক
০ মন্তব্য ৭০ views

রাজবাড়ীতে বালুমহালের দরপত্র নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মারামারির ঘটনার ভিডিও ধারণ করার সময় এক সাংবাদিককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় ওই সাংবাদিককে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সাংবাদিক ইমরান হোসেন মনিম মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালুখালী উপজেলার চরপাতুরিয়া বালুমহালের দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় পেশাগত কাজে ভিডিও ধারণ করতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ থেকে ২০ জনের দল সাংবাদিক ইমরান হোসেনের ওপর হামলা করে।

সাংবাদিক ইমরান হোসেন বলেন, ‘দরপত্র বাক্সে বিএনপির দুই পক্ষ দরপত্র ফেলা নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি ও কিলঘুষি মারতে থাকে। এই দৃশ্য ধারণ করতে থাকি। একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্য ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল আমাকে কিল-ঘুষি মারা শুরু করেন। ছবি তুললি কেন? বলেই এলোপাতাড়ি মারধরে রক্তাক্ত করে পরনের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় কোনও একজন হাতে থাকা মোটরসাইকেলের চাবি-জাতীয় কিছু একটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। এ অবস্থায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিমসহ কয়েকজন আমাকে উদ্ধার করেন। পরে সহকর্মীদের সহযোগিতায় আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমার মাথায় দুই-তিনটি সেলাই লেগেছে।’

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম বলেন, ‘কালুখালী উপজেলার গড়াই নদের চরপাতুরিয়া বালুমহাল ইজারা সংক্রান্ত দরপত্র থাকায় বিএনপির দুই পক্ষের লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের আশ্রয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতো, এমন কিছু ছেলে এখন রাজবাড়ী-২ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হকের আশ্রয়ে আছে। সাংবাদিক ইমরান দুটি পক্ষের মধ্যে গ্যাঞ্জামের ছবি তোলায় ওই ছেলেরা মারধর করে। আমাদের রাজবাড়ী শহরের কোনও ছেলেপেলে ছিল না। দূর থেকে দেখে দৌড়ে এসে আমরা সাংবাদিক ইমরানকে উদ্ধার করেছি।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সাংবাদিক ইমরান হোসেনকে দেখে এসেছি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।’

আরো পড়ুন

একটি মন্তব্য লিখুন

আমাদের সম্পর্কে

বাঙালীর সংবাদ বাংলা ভাষায়, সবার আগে সেরা সংবাদ পেতে বি-বাংলা ভিজিট করুন।

আজকের সর্বাধিক পঠিত

নিউজলেটার